শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান! নবান্ন উৎসব ঘিরে জমে উঠেছে কালাইয়ে মাছের মেলা কটিয়াদীতে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের সম্বর্ধনা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকতে হবে: রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু
ইরানে হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত

ইরানে হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক উপলক্ষে তেহরান সফরকালে গুপ্ত হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
বুধবার (৩১ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম। 

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) বিবৃতি উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন। তিনি যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেখানে হামলা চালানো হলে হানিয়া এবং তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়। 

ইসমাইল হানিনার নিহত হওয়ার বিষয়টি হামাসের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। খবরে বলা হয়, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া তেহরানে নিহত হয়েছেন বলে বুধবার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। বিবৃতিতে হানিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে হামাস জানিয়েছে, তেহরানে নিজের আবাসস্থলে বিশ্বাসঘাতক ইহুদিবাদী অভিযানে’ ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। 

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেও কোনো মন্তব্য এখনো আসেনি।

১৯৬৩ সালের ২৯ জানুয়ারি মিশর অধিকৃত গাজা উপত্যকার আল-শাতি উদ্বাস্তু শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন ইসমাইল হানিয়া।

১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় তার বাবা মা বর্তমান ইসরায়েলের অন্তর্গত আসকালানের নিকটস্থ বাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু হন। তিনি জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর গাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি হামাসে যোগ দেন। 

১৯৮৫ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিনিধি ছাত্র কাউন্সিলের প্রধান ছিলেন। ইসলামিক এসোসিয়েশন ফুটবল দলে তিনি মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রথম ইন্তিফাদার প্রায় সমসাময়িক কালে তিনি স্নাতক হন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে তিনি ইসরায়েলে স্বল্পকালীন কারাদন্ডে দণ্ডিত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি পুনরায় ইসরায়েল কর্তৃক গ্রেফতার হন এবং ছয় মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। 

১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়ার পর আবদুল আজিজ আল-রানতিসি, মাহমুদ জাহহার ও আরও ৪০০ কর্মীর সঙ্গে ইসরায়েল তাকে লেবানন পাঠিয়ে দেয়। তারা দক্ষিণ লেবাননের মার্জ‌ আল-জহুরে এক বছর অবস্থান করেছিলেন। বিবিসির মতে এখানে হামাস যথেষ্ট পরিমাণে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়ে উঠে। এক বছর পর তিনি গাজায় ফিরে আসেন এবং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন নিযুক্ত হন।

২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত আইন পরিষদের নির্বাচনে হামাস জয়লাভের পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ফাতাহ-হামাস দ্বন্দ্বের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১৪ জুন রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস তাকে পদচ্যুত করেন। কিন্তু ইসমাইল হানিয়া আদেশ মেনে নেননি এবং গাজায় প্রধানমন্ত্রিত্ব করতে থাকেন।
facebook sharing button

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com